:: Worldwide Friends Forum ::
Welcome To Friends Circle...Share,Comment and Enjoy the World.

Thanking You,
Admin

Join the forum, it's quick and easy

:: Worldwide Friends Forum ::
Welcome To Friends Circle...Share,Comment and Enjoy the World.

Thanking You,
Admin
:: Worldwide Friends Forum ::
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

বরাক নদীর ওপর টিপাইমুখ বাঁধ

Go down

03062009

Post 

বরাক নদীর ওপর টিপাইমুখ বাঁধ Empty বরাক নদীর ওপর টিপাইমুখ বাঁধ




বাংলাদেশের নদীগুলোকে ভূগোল বইতে সাধারণত দু’ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা হয়। ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, পদ্মা, মহানন্দার মতো নদীর পানির উৎস কেবল মৌসুমি বৃষ্টিপাত নয়। এর পানির একটা বড় উৎস হলো হিমালয়ের বরফ গলা পানি। কিন্তু সুরমা নদীর পানি, কর্ণফুলী নদীর পানি বরফ গলা পানি নয়। এরা বহন করে বৃষ্টির পানি। ভারতের আসাম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয় থেকে বর্ষাকালের বৃষ্টির পানি এসে পড়ে এসব নদীতে। বর্ষাকালের পানির একটা অংশ মাটির মধ্যে চুইয়ে যায়। চুইয়ে যাওয়া পানির একটা অংশ শীতকালে এসে প্রবাহিত হয় সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে। বরাক নদী দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে সৃষ্টি হয়েছে সুরমা ও কুশিয়ারা। এরা আবার পরে মিলিত হয়ে সৃষ্টি করেছে কালনী নদী। কালনীর সাথে পুরনো ব্রহ্মপুত্র মিলিত হয়ে সৃষ্টি হয়েছে মেঘনা নদীর। বরাক নদীর ওপর ড্যাম বা বাঁধ নির্মাণ করলে কুশিয়ারা ও সুরমা নদীতে বর্তমানে যে পরিমাণ পানি প্রবাহিত হয় বর্ষার মৌসুমে তা শতকরা পঁচিশ ভাগ কম পানি প্রবাহিত হতে থাকবে। আর শীতকালে (রবি মৌসুমে) এই দুই নদীতে পানিপ্রবাহের পরিমাণ কমে যেতে পারে বর্তমানের তুলনায় শতকরা আশি ভাগ। এর ফলে আমাদের দেশে একটা উল্লেখযোগ্য অংশ শীতকালে বা রবি মৌসুমে চাষির জন্য হবে বিরাট ক্ষতি। এ রকম অভিমত দিচ্ছেন আমাদের বিশেষজ্ঞরা।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যে বৃষ্টি হয় খুব বেশি। এখানে বর্ষার (জুন-জুলাই) মৌসুমে বৃষ্টির পরিমাণ হলো ৩৭৫-১২৫০ সেন্টিমিটারের কাছাকাছি। এই বিপুল পরিমাণ বৃষ্টির পানি প্রধানত বহন করে সুরমা নদী। কারণ সুরমা নদীতে পড়েছে ভারতের মেঘালয় থেকে একাধিক উপনদী। বর্ষাকালে সুরমা নদীতে যত পানি আসে তা আমাদের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি। বর্ষাকালে টিপাইমুখ বাঁধ আমাদের তেমন কোনো ক্ষতির কারণ হবে বলে মনে হয় না। কিন্তু শীতকালে যখন আমাদের পানির প্রয়োজন হবে, তখন টিপাইমুখ বাঁধের লকগেটগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। আমরা আর আগের মতো পানি পেতে পারব না। টিপাইমুখ বন্ধ করে দিয়ে ভারত বরাক নদীর পানি ব্যবহার করবে দক্ষিণ আসাম, ত্রিপুরা, মনিপুর ও মিজোরামে। এর ফলে এসব অঞ্চলে কৃষিতে ঘটবে সবুজ বিপ্লব। বরাক নদীর বাঁধ (ড্যাম) সৃষ্টি করবে একটি জলাধর। যাতে পানি ধরবে ১৬ বিলিয়ন (১ বিলিয়নে ১০০ কোটি) কিউবিক মিটার। যাতে হতে পারবে মাছের চাষ। বরাক নদীর ওপর এই বাঁধ তৈরি করে ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করাও সম্ভব হবে। অর্থাৎ টিপাইমুখ বাঁধ ভারতের জন্য হবে প্রভূত দিক থেকে অর্থকরী। ভারতে অনেক বিশেষজ্ঞ আছেন। আমরা বিশেষজ্ঞ নই। তবে আমাদের মনে হচ্ছে, এতে আমাদের মধ্যেও কিছু হিসাবে ভুল থাকছে। বরাক নদী প্রচুর পলি বয়ে আনে। পলি সরানোর ব্যবস্থা ঠিকমতো না করতে পারলে সৃষ্টি হতে পারে বিরাট সমস্যা। যে রকম সমস্যার সৃষ্টি হতে পেরেছে আমাদের কর্ণফুলী নদীর পানি-বিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে। ভারত গঙ্গার ওপর ফারাক্কা ব্যারাজ নির্মাণ করেছে। এই ব্যারাজ সৃষ্টি করছে পাটনা, মালদা, মুর্শিদাবাদে বড় রকমের সমস্যা। ফারাক্কা ব্যারাজে গঙ্গার পানি ধাক্কা খেয়ে সরে যেতে চাচ্ছে মালদার দিকে। সৃষ্টি হতে যাচ্ছে গঙ্গার নতুন খাত, যা ফারাক্কা ব্যারাজের মূল কার্যকারিতাকেই করে দিতে চাচ্ছে উলটপালট।
টিপাইমুখের বাঁধ কতকটা অনুরূপভাবেই আশাহত করতে পারে ভারতকে। বর্ষাকালে সৃষ্টি হতে পারে ভয়াবহ বন্যার সমস্যা। নদীতে ড্যাম নির্মাণ করার আগে নানা দিকের কথা ভেবে দেখতে হয়। পুরনো সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে দেখা দিতে পারে নানা নতুন সমস্যা। আর এসব সমস্যার অনেকগুলো পরিগ্রহ করতে পারে মারাত্মক সঙ্কটরূপে। বরাক নদী সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য আমাদের জানা নেই। তবে মনে হচ্ছে অনেক সমস্যারই সৃষ্টি হতে পারে এই বাঁধ নির্মাণে। এর ফলে শুধু বাংলাদেশের মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারতেরও মানুষ। আমাদের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে ভারতের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত গঠন করতে। কিন্তু আন্তর্জাতিক জনমত গঠন করতে হলে লাগবে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ। যেগুলোকে নির্ভরযোগ্যভাবে সংগ্রহ করে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গা নদীকে সারা বিশ্বই চেনে। কিন্তু বরাক নদী একটা অপরিচিত নদী। যেটাকেও করে তুলতে হবে বিশ্বের কাছে পরিচিত। আমাদের দেশের জনমত গড়তে অসুবিধা হবে না। কিন্তু বিশ্বজনমত গড়তে নিশ্চয় পড়তে হবে যথেষ্ট অসুবিধারই মধ্যে। কারণ ভারতের প্রচারযন্ত্র বাংলাদেশের চেয়ে শত গুণে জোরালো। ভারতের বিপক্ষে প্রচার সংগ্রাম চালাতে হলে যে পরিমাণ তথ্য ও উপাত্ত আমরা উত্থাপন করছি তা মোটেও প্রতুল বলে বিবেচিত হবে না। তাই প্রচারযুদ্ধ চালাতে হলে আমাদের এ বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে। সমস্যাটি এ দেশে যেমন অনেকে রাজনীতির ইস্যু করে তুলতে চাচ্ছেন, বলতে চাচ্ছেন এটি আওয়ামী লীগ বনাম বিএনপি’র লড়াই। সেটা করলে আমরা ভেতর থেকেই দুর্বল হয়ে পড়ব।
টিপাইমুখ বাঁধ একটি জাতীয় সমস্যা। এ ক্ষেত্রে দরকার জাতীয় ঐকমত্য। নদীর ব্যাপারে কতগুলো আন্তর্জাতিক কনভেনশন আছে। আমাদের যুক্তি দেখাতে হবে সে সবেরই ভিত্তিতে। না হলে বিশ্বজনমতকে পক্ষে পাওয়া যাবে না। বরাক নদী ভারতের মধ্যে বেশি অংশজুড়ে প্রবহমান নয়। বরাক নদী সিলেট বিভাগে ঢোকার পর বিভক্ত হয়ে সৃষ্টি হয়েছে সুরমা ও কুশিয়ারা নদী। আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুসারে আমরা এ ক্ষেত্রে দাবি করতে পারি অগ্রাধিকার।
কারণ বরাক নদীর পানির ওপর আমাদের দেশের যত মানুষ নির্ভরশীল, ভারতের তা নয়। নদীর পানি বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভাগ হয় প্রধানত কোন দেশের মানুষ ওই নদীর পানির ওপর কতটা নির্ভরশীল তার ওপর ভিত্তি করে। এ ক্ষেত্রে আমরা বেশ জোরালো যুক্তি উত্থাপন করতে পারি। বরাক নদীর উদ্ভব হয়েছে তুইভাই ও তুইরয়ং নদীদ্বয়ের মিলনের ফলে। এই নদীদ্বয়ের সঙ্গমস্থল থেকে প্রায় ৫০০ মিটার পশ্চিমে বরাক নদীর ওপর ভারত টিপাইমুখ বাঁধ করছে। টিপাইমুখ বাঁধ বাংলাদেশের সিলেট জেলার সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে।

লেখকঃ এবনে গোলাম সামাদ


লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): টিপাই মুখ ;


Click This Link
Admin
Admin
Administrator
Administrator

Male
Number of posts : 473
Age : 37
Location : Bangladesh
Job/hobbies : To Do Something For My Birthplace,Kutubdia.
Humor : Life Is Full Of Humour.
Reputation : 7
Points : 303257
Registration date : 18/01/2009

Character Sheet
Admin's Message: Thanks For Your Participation.Keep In Touch.

http://www.friendcircles.heavenforum.com

Back to top Go down

Share this post on: reddit

 
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum