Similar topics
Tarokader prem Kahini(Love Story Of Stars)
Page 1 of 1
Tarokader prem Kahini(Love Story Of Stars)
তুমুল প্রেমের দিনগুলো
এই তুমুল তারকাদের জীবনেও প্রেম এসেছিল একদিন নিরবে। আর দারুণ সাহসে ভর
করে রাজকন্যা এবং সিংহাসন জয়ের মতো দুরন্ত অভিযান চালিয়ে তারা ভালোবাসার
মানুষকে বেঁধে ফেলেছেন সংসারের কঠিন শিকলে। এবারের ‘ভালোবাসা দিবস’কে
সামনে রেখে গ্লিটজের প্রধান রচনা তারকা দম্পতির ভালোবাসা এবং তার পরের
দিনগুলোর কথামালা। আমাদের এবারের প্রধান রচনায় হাজির হয়েছেন রফিকুল আলম-
আবিদা সুলতানা, শামসুদ্দীন হায়দার ডালিম- তনিমা হামিদ, আনুশেহ্- বুনো, এস
আই টুটুল- তানিয়া আহমেদ এবং সুজিত মোস্তফা- মুনমুন আহমেদ দম্পতি। এই
তারকাদের ভালোবাসার ভুবনে আপনাকে স্বাগতম। লিখেছেন ওমর শাহেদ।
দু’জনের মায়ার বাঁধন : সুজিত মোস্তফা- মুনমুন আহমেদ
’৮৬ সালের সাফ গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একত্রে পারফরমেন্স করেছিলেন
তারা। সুজিত মোস্তফা গান গেয়েছিলেন আর মুনমুন আহমেদ সেই আয়েজনে পরিবেশন
করেছিলেন নাচ। সেখানেই তাদের হালকা আলাপ- পরিচয় ঘটেছিল। সেটা তেমন কিছু
না। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নিয়ে
শান্তি নিকেতনে গানের ওপর ডিগ্রী অনতে চলে যান সুজিত। সেখান থেকে পরের বছর
তিনি যান দিল্লীর শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রে। এখানেও তার কোর্সের বিষয়
ছিল গান। আর এখানেই পরে ভর্তি হয়ে আসেন এদেশের ৮ ছাত্র- ছাত্রী। যাদের
মধ্যে নাচের মুনমুনও ছিলেন।
মুনমুন আহমেদ এখানে এসে দেখেন ‘সার্বজনীন দাদা’ হয়ে গেছেন সুজিত মোস্তফা।
এদেশের ছাত্র-ছাত্রীই শুধু নন, ভারতের নানা স্থানের শিক্ষার্থীদের হরেক
সমস্যা দিনরাত সমাধান করে বেড়াচ্ছেন তিনি। কারো দরখাস্ত লেখা, কারো আর্থিক
অনটন অথবা নিজেদের মধ্যে বিবাদ সমাধান- এমন নানা সমস্যার সমাধানে সবার আগে
আছেন তিনি। ‘দাদা’র এই উপকারী মনোভাব খুবই ভালো লাগলো এই তুমুল তারুণ্যের
শুরুতে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটির। তিনিও নিজের নানা বিপদ- আপদে দারস্থ হতেন
‘সুজিতদা’র!
সুজিত মোস্তফা অবাক হয়ে খেয়াল করলেন- সেদিনের মেয়েটি নানা কাজের কাজী হয়ে
উঠেছে। কোনো উপলক্ষে রান্না- বান্না করতে হবে, কারো টাকা নেই- সবার আগে
এগিয়ে আসছেন মুনমুন। অনেক মানবিক গুণাবলীর পাশাপাশি মেয়েটির স্টেজ
পারফরমেন্সও দারুণভাবে আকর্ষণ করলো সুজিতকে। তিনি খেয়াল করলেন- স্টেজে
একেবারেই অন্যরকমের হয়ে যান মুনমুন। নাচের প্রতি তার যে নিষ্ঠা সেটা দেখে
খুব মুগ্ধ সুজিত বন্ধুদের চেয়ে আলাদা করে ফেললেন তাকে।
আস্তে আস্তে তাদের দুজনের কাছাকছি আসার ব্যাপারটি ঘটলো। আর নানা উপলক্ষে
তারা যেমন একত্রে যেতেন, তেমনি দীর্ঘ বাস ভ্রমণ করে আসতেন দেশে। ফলে অনেক
আলাপ- নানা ঘটনার প্রেক্ষিতে এক স্বর্ণ সময়ে উপলব্ধি করলেন যে, তারা দুজন
দুজনকে খুব বেশি পছন্দ করেন। এই বিষয়টা মুনমুনের কাছে ছিল এমন- “এই
মানুষটিকে ছাড়া আমার জন্ম বৃথা।”
’৯৩
সালের ৩ জুলাই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন মুনমুন আহমেদ আর সুজিত মোস্তফা।
এখন তাদের সংসার যাত্রার বয়স ১৫ বছর পেরিয়ে গেছে। স্বামী- স্ত্রীর সাধারণ
বিবাদগুলো আরো দশজনের মতো তাদের সংসারেও আছে। সুজিতের বাথরুমে স্যান্ডেল
না পরে যাওয়া অথবা পেষ্ট ব্রাশে লাগানোর পর সেটার মুখ বন্ধ না করার মতো
‘মৌলিক ভুলগুলো’র পাশাপাশি বন্ধুদের বেশি সময় দেয়া অথবা কম্পিউটার নিয়ে
বেশি পড়ে থাকা নিয়ে মুখ ভার করেন তার স্ত্রী। অন্যদিকে নাচের মানুষের
শারীরিক ফিটনেস খুবই জরুরী জেনেও মুনমুন কখনো কখনো বেখেয়ালী হয়ে
উল্টো-পাল্টা খেয়ে শরীরের বারোটা বাজান- এসব নিয়েও মন কালাকালি হয় সুজিতের
সঙ্গে তার। তারপরও এই দুই সংস্কৃতি জগতের মানুষ খুব ভালো আছেন একমাত্র
সন্তান অপরাজিতাকে নিয়ে। তাদের সংসারে এখনো পর্যন্ত ১০ বারের বেশি বড়
ধরণের ঝগড়া হয়নি সেই তথ্য- এ কথাকে আরো বেশি প্রমাণিত করে। আর নিজেদের
প্রতি অপরিসীম মায়া এই বাঁধনকে আরো শক্ত করে তুলছে দিনের পর দিন। আর মজার
ব্যাপার হলো- ভারতে পড়তে গিয়ে সেই যে সুজিত মোস্তফাকে দাদা ডেকে আপনি
হিসেবে সম্বোধন করতেন মুনমুন আহমেদ, আজো তিনি সেই ‘আপনি’ সম্বোধন করা
ছাড়েননি। ব্যাপারটি সুজিতের খুবই ভালো লাগে এবং তিনি সানন্দেই সেটা উপভোগ
করেন- তথ্যটা বলার সময় তার মুখের মিষ্টি হাসিই তা বলে দিচ্ছিল!
source Bdnews24.com
এই তুমুল তারকাদের জীবনেও প্রেম এসেছিল একদিন নিরবে। আর দারুণ সাহসে ভর
করে রাজকন্যা এবং সিংহাসন জয়ের মতো দুরন্ত অভিযান চালিয়ে তারা ভালোবাসার
মানুষকে বেঁধে ফেলেছেন সংসারের কঠিন শিকলে। এবারের ‘ভালোবাসা দিবস’কে
সামনে রেখে গ্লিটজের প্রধান রচনা তারকা দম্পতির ভালোবাসা এবং তার পরের
দিনগুলোর কথামালা। আমাদের এবারের প্রধান রচনায় হাজির হয়েছেন রফিকুল আলম-
আবিদা সুলতানা, শামসুদ্দীন হায়দার ডালিম- তনিমা হামিদ, আনুশেহ্- বুনো, এস
আই টুটুল- তানিয়া আহমেদ এবং সুজিত মোস্তফা- মুনমুন আহমেদ দম্পতি। এই
তারকাদের ভালোবাসার ভুবনে আপনাকে স্বাগতম। লিখেছেন ওমর শাহেদ।
দু’জনের মায়ার বাঁধন : সুজিত মোস্তফা- মুনমুন আহমেদ
’৮৬ সালের সাফ গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একত্রে পারফরমেন্স করেছিলেন
তারা। সুজিত মোস্তফা গান গেয়েছিলেন আর মুনমুন আহমেদ সেই আয়েজনে পরিবেশন
করেছিলেন নাচ। সেখানেই তাদের হালকা আলাপ- পরিচয় ঘটেছিল। সেটা তেমন কিছু
না। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নিয়ে
শান্তি নিকেতনে গানের ওপর ডিগ্রী অনতে চলে যান সুজিত। সেখান থেকে পরের বছর
তিনি যান দিল্লীর শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রে। এখানেও তার কোর্সের বিষয়
ছিল গান। আর এখানেই পরে ভর্তি হয়ে আসেন এদেশের ৮ ছাত্র- ছাত্রী। যাদের
মধ্যে নাচের মুনমুনও ছিলেন।
মুনমুন আহমেদ এখানে এসে দেখেন ‘সার্বজনীন দাদা’ হয়ে গেছেন সুজিত মোস্তফা।
এদেশের ছাত্র-ছাত্রীই শুধু নন, ভারতের নানা স্থানের শিক্ষার্থীদের হরেক
সমস্যা দিনরাত সমাধান করে বেড়াচ্ছেন তিনি। কারো দরখাস্ত লেখা, কারো আর্থিক
অনটন অথবা নিজেদের মধ্যে বিবাদ সমাধান- এমন নানা সমস্যার সমাধানে সবার আগে
আছেন তিনি। ‘দাদা’র এই উপকারী মনোভাব খুবই ভালো লাগলো এই তুমুল তারুণ্যের
শুরুতে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটির। তিনিও নিজের নানা বিপদ- আপদে দারস্থ হতেন
‘সুজিতদা’র!
সুজিত মোস্তফা অবাক হয়ে খেয়াল করলেন- সেদিনের মেয়েটি নানা কাজের কাজী হয়ে
উঠেছে। কোনো উপলক্ষে রান্না- বান্না করতে হবে, কারো টাকা নেই- সবার আগে
এগিয়ে আসছেন মুনমুন। অনেক মানবিক গুণাবলীর পাশাপাশি মেয়েটির স্টেজ
পারফরমেন্সও দারুণভাবে আকর্ষণ করলো সুজিতকে। তিনি খেয়াল করলেন- স্টেজে
একেবারেই অন্যরকমের হয়ে যান মুনমুন। নাচের প্রতি তার যে নিষ্ঠা সেটা দেখে
খুব মুগ্ধ সুজিত বন্ধুদের চেয়ে আলাদা করে ফেললেন তাকে।
আস্তে আস্তে তাদের দুজনের কাছাকছি আসার ব্যাপারটি ঘটলো। আর নানা উপলক্ষে
তারা যেমন একত্রে যেতেন, তেমনি দীর্ঘ বাস ভ্রমণ করে আসতেন দেশে। ফলে অনেক
আলাপ- নানা ঘটনার প্রেক্ষিতে এক স্বর্ণ সময়ে উপলব্ধি করলেন যে, তারা দুজন
দুজনকে খুব বেশি পছন্দ করেন। এই বিষয়টা মুনমুনের কাছে ছিল এমন- “এই
মানুষটিকে ছাড়া আমার জন্ম বৃথা।”
’৯৩
সালের ৩ জুলাই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন মুনমুন আহমেদ আর সুজিত মোস্তফা।
এখন তাদের সংসার যাত্রার বয়স ১৫ বছর পেরিয়ে গেছে। স্বামী- স্ত্রীর সাধারণ
বিবাদগুলো আরো দশজনের মতো তাদের সংসারেও আছে। সুজিতের বাথরুমে স্যান্ডেল
না পরে যাওয়া অথবা পেষ্ট ব্রাশে লাগানোর পর সেটার মুখ বন্ধ না করার মতো
‘মৌলিক ভুলগুলো’র পাশাপাশি বন্ধুদের বেশি সময় দেয়া অথবা কম্পিউটার নিয়ে
বেশি পড়ে থাকা নিয়ে মুখ ভার করেন তার স্ত্রী। অন্যদিকে নাচের মানুষের
শারীরিক ফিটনেস খুবই জরুরী জেনেও মুনমুন কখনো কখনো বেখেয়ালী হয়ে
উল্টো-পাল্টা খেয়ে শরীরের বারোটা বাজান- এসব নিয়েও মন কালাকালি হয় সুজিতের
সঙ্গে তার। তারপরও এই দুই সংস্কৃতি জগতের মানুষ খুব ভালো আছেন একমাত্র
সন্তান অপরাজিতাকে নিয়ে। তাদের সংসারে এখনো পর্যন্ত ১০ বারের বেশি বড়
ধরণের ঝগড়া হয়নি সেই তথ্য- এ কথাকে আরো বেশি প্রমাণিত করে। আর নিজেদের
প্রতি অপরিসীম মায়া এই বাঁধনকে আরো শক্ত করে তুলছে দিনের পর দিন। আর মজার
ব্যাপার হলো- ভারতে পড়তে গিয়ে সেই যে সুজিত মোস্তফাকে দাদা ডেকে আপনি
হিসেবে সম্বোধন করতেন মুনমুন আহমেদ, আজো তিনি সেই ‘আপনি’ সম্বোধন করা
ছাড়েননি। ব্যাপারটি সুজিতের খুবই ভালো লাগে এবং তিনি সানন্দেই সেটা উপভোগ
করেন- তথ্যটা বলার সময় তার মুখের মিষ্টি হাসিই তা বলে দিচ্ছিল!
source Bdnews24.com
Admin- Administrator
-
Number of posts : 473
Age : 37
Location : Bangladesh
Job/hobbies : To Do Something For My Birthplace,Kutubdia.
Humor : Life Is Full Of Humour.
Reputation : 7
Points : 303257
Registration date : 18/01/2009
Character Sheet
Admin's Message: Thanks For Your Participation.Keep In Touch.
Love Story Of Dalim+Tanima
কোমল কিশোরী এবং তুমুল তরুণের ভালোবাসার গল্প : শামসুদ্দীন হায়দার ডালিম -তনিমা হামিদ
এই গল্পটা এক কোমল কিশোরীর সাথে আরেক তুমুল তরুণের ভালোবাসার। ডালিম নামের
ছেলেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে কেবল ভর্তি
হয়েছে। এটা ঠিক ’৯০ সালের কথা যখন এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের বেশ জোয়ার চলছে।
আর আজকের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের বন্ধ্যা অবস্থা
তৈরি হয়নি। নানা ধরণের গান, নাচ আর অভিনয় করে এখানকার দামাল ছেলেমেয়েরা
এরশাদ নামের সেই কুখ্যাত স্বৈরশাসকের বিপক্ষে আন্দোলন- সংগ্রাম চালিয়ে
যাচ্ছে তুমুল গতিতে। যেহেতু পুরোনো ঢাকার একটি বনেদী পরিবারের সন্তান সে
আর ছোটবেলা থেকেই নানা ধরণের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিল
আষ্টে-পৃষ্ঠে এবং নিজের ক্যাডেট জীবনেও (সাবেক ছাত্র- মীর্জাপুর ক্যাডেট
কলেজ) ছিল হাউসের সবার সেরা- ফলে এদেশের অন্যতম সংস্কৃতির আতুড় ঘরে ঢুকেই
ডালিম মহা আনন্দে ভর্তি হয়ে গেল নাটকের দলে।
‘নাটকের মানুষ তৈরির কারখানা’ হিসেবে খুব সুনাম তখন নাট্যচক্রের। অধ্যাপক
কবীর চৌধুরী, ড. আনিসুজ্জামান, রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, নরেন
বিশ্বাস, ম. হামিদ, সালেক খান, ভাষ্কর বন্দোপাধ্যায়- প্রমুখ বরেণ্য
ব্যক্তিবর্গ নাট্যচক্রের এক বছর মেয়াদী টিএসসিতে পরিচালিত এই কোর্সের
ক্লাস নিতেন। এখানেই সপ্তাহের দুই কী তিনদিন আরো অনেকের সাথে অভিনয়ের নানা
গুপ্তকলা রপ্ত করতেন ডালিম। সময় বয়ে যাচ্ছে সময়ের নিয়মে। রাফাত আলম,
জুনায়েদ ইউসুফ প্রমুখের সঙ্গে এই কোসর্টি সম্পন্ন করলেন তিনি। আর কোর্সের
ফাঁকে তারা মঞ্চস' করে ফেললেন ‘বিদ্রোহী প্রমিথিউস’, ‘কমেডি অন ট্রায়াল’-
প্রমুখ নাটক। যথানিয়মে কোর্স শেষ হবার পর নাট্যচক্রের নিয়মিত সদস্য হিসেবে
অভিনয় করতে লাগলেন আমাদের এই গল্পের নায়ক।
তবে গোল বাধলো তখনই, যখন এই দারুণ যৌবনে তার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল এক কোমল
কিশোরীর। এই অপরূপ মেয়েটি অগ্রণী গার্লস হাইস্কুলে ক্লাস এইটে পড়ে। কতোই
বা বয়েস তাদের! একজন কৌশরের প্রান্তসীমা পেরিয়ে ফুল হবার জন্য অপেক্ষা
করছে, আরেকজন তুমুল তারুণ্যের গন্ধে পাগলপারা হয়ে নিজেকে যৌবনের
ধর্মানুসারে বিলিয়ে দিচ্ছে অনেকের মাঝে।
টিএসসির সেই দারুণ সবুজ চত্বরে আরো অনেকের সাথে একত্রে ক্লাস করতেন তনিমা
হামিদ আর শামসুদ্দীন হায়দার ডালিম। অভিনয় শেখার এই ক্লাসেই তাদের মুখোমুখি
আলাপ- পরিচয়। তবে প্রথম দিকে মানে সেই ’৯৩ সালে একে অন্যকে আলাদা করে
দেখতেন না তারা। তবে দলের সভাপতির মেয়ে হিসেবে তনিমা হামিদের প্রতি একটা
আলাদা নজর ছিল সবারই। তার কিসে ভালো হবে, সে এলো কি এলো না অথবা কোনো
সমস্যা হচ্ছে কি না- এসব দেখভাল করার মানুষের কোনো অভাব ছিল না! এসবের
ভীড়ে এই লাজুক, বিনয়ী ছেলে কি আর রাজকন্যার দেখা পায়!
দলের রিহার্সেল, শো- ইত্যাদি হবার সময় তাদের নিয়মিত আলাপ হয়, খুচরো কিছু
কথাবার্তাও হয়। সেটা তেমন কিছু নয়! যেহেতু দলের সভাপতির মেয়ে ফলে নিজে
পারতপক্ষে তার প্রতি কোনো কৌতুহল দেখাতে যেতেন না ভীষণ ভদ্রলোক ডালিম।
মাঝে তিনি পড়ালেখার ফাঁকে ঢুকে গেলেন এপিটিএন (এসোসিয়েট প্রেস টেলিভিশন
নিউজ)- এর এদেশীয় প্রতিনিধি হিসেবে। সারাদিন ধরে নানা খবর সংগ্রহ করে
রাতের ৭টার বৃটিশ এয়ারওয়েজে সেটা বৃটেনে পাঠানোর ব্যবস্থা করাই ছিল তার
কাজ। এভাবেই দিন কাটছে দিনের নিয়মে।
এই কাজ পাগল, লাজুক ছেলেটার বিনয় আরো নানা সব গুণ আকর্ষণ করলো ভীষণভাবে
তনিমাকে। ফলে একদিন তিনি নিজের মতো করে পছন্দের কথাটা জানিয়েও দিলেন। আর
জানাবেনই বা না কেন- তারা তো আগে থেকেই জানতেন যে তারা দুজন দুজনকে পছন্দ
করেন নানা কারণে। আর ডালিমের এই সুযোগ গ্রহণ না করার কোনোই কারণ নেই।
টানা
এগারো বছর বিয়ের আগের ‘প্রেমপর্ব’ কাটিয়েছেন শামসুদ্দীন হায়দার ডালিম আর
তনিমা হামিদ। তবে কোনোদিন তাদের নিয়ে কোনো রিউমার ছড়ায়নি কোনো কাগজে। এই
ব্যাপারের রহস্য জানতে চাইলে হাসতে হাসতে গণমাধ্যমকর্মী শামসুদ্দীন হায়দার
ডালিম বলেন, “আমরা যে সময়টা পার করেছি, তখন নাটকে অভিনয়ের সুবাধে তনিমা
বেশ পরিচিত হয়ে যাচেছ দিনের পর দিন। আর আমিও টিভিতে কাজ করছি। অল্প- সল্প
পরিচিতি আমারও হচ্ছে। ফলে আমরা দুজনেই খুব সজাগ ছিলাম যাতে মিডিয়ার কোনো
দৃষ্টি এই সম্পর্কের দিকে না পড়ে।”
মঞ্চে যেহেতু একসাথেই কাজ করতেন, ফলে সেখানেই তাদের নিয়মিত দেখা হতো। আলাপ
চলতো, অভিমান পর্বও হতো। সভাপতির মেয়ে হিসেবে আলাদা নজরে থাকলেও ডালিমের
সঙ্গে যে ‘গভীর হৃদয়বৃত্তিক সম্পর্ক’ চলছে তার সেটা কাউকে টের পেতে দিতেন
না তনিমা। এভাবে চলতে চলতে আর তনিমার পরিবারের অত্যন্ত পছন্দের ছেলে হবার
কারণে তাদের সম্পর্কটা আসলে বেশ শক্ত ভিত পেয়েছিল ভেতরে ভেতরে।
’০৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মহা ধুমধামের সাথে বিয়ে হয় তনিমা- ডালিমের। তারও
আগে মানে ’০০ সালে নিজেদের এই পছন্দের কথা তারা দুই পরিবারের কাছে তুলে
ধরেন। যেহেতু ম. হামিদ আর ফাল্গুনী সংস্কৃতি জগতের মানুষ, ফলে এমন ছেলেকে
না বলার কোনো যুক্তিই ছিল না তাদের হাতে। আর তনিমাকেও সানন্দে মেনে
নিয়েছিলেন ডালিমের বাবা- মা। ফলে পুরোনো ঢাকার মালিটোলোর এক যৌথ পরিবারের
পুত্রবধু হিসেবে ঢুকে পড়লেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তনিমা হামিদ।
Source Bdnews24.com
এই গল্পটা এক কোমল কিশোরীর সাথে আরেক তুমুল তরুণের ভালোবাসার। ডালিম নামের
ছেলেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে কেবল ভর্তি
হয়েছে। এটা ঠিক ’৯০ সালের কথা যখন এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের বেশ জোয়ার চলছে।
আর আজকের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের বন্ধ্যা অবস্থা
তৈরি হয়নি। নানা ধরণের গান, নাচ আর অভিনয় করে এখানকার দামাল ছেলেমেয়েরা
এরশাদ নামের সেই কুখ্যাত স্বৈরশাসকের বিপক্ষে আন্দোলন- সংগ্রাম চালিয়ে
যাচ্ছে তুমুল গতিতে। যেহেতু পুরোনো ঢাকার একটি বনেদী পরিবারের সন্তান সে
আর ছোটবেলা থেকেই নানা ধরণের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিল
আষ্টে-পৃষ্ঠে এবং নিজের ক্যাডেট জীবনেও (সাবেক ছাত্র- মীর্জাপুর ক্যাডেট
কলেজ) ছিল হাউসের সবার সেরা- ফলে এদেশের অন্যতম সংস্কৃতির আতুড় ঘরে ঢুকেই
ডালিম মহা আনন্দে ভর্তি হয়ে গেল নাটকের দলে।
‘নাটকের মানুষ তৈরির কারখানা’ হিসেবে খুব সুনাম তখন নাট্যচক্রের। অধ্যাপক
কবীর চৌধুরী, ড. আনিসুজ্জামান, রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, নরেন
বিশ্বাস, ম. হামিদ, সালেক খান, ভাষ্কর বন্দোপাধ্যায়- প্রমুখ বরেণ্য
ব্যক্তিবর্গ নাট্যচক্রের এক বছর মেয়াদী টিএসসিতে পরিচালিত এই কোর্সের
ক্লাস নিতেন। এখানেই সপ্তাহের দুই কী তিনদিন আরো অনেকের সাথে অভিনয়ের নানা
গুপ্তকলা রপ্ত করতেন ডালিম। সময় বয়ে যাচ্ছে সময়ের নিয়মে। রাফাত আলম,
জুনায়েদ ইউসুফ প্রমুখের সঙ্গে এই কোসর্টি সম্পন্ন করলেন তিনি। আর কোর্সের
ফাঁকে তারা মঞ্চস' করে ফেললেন ‘বিদ্রোহী প্রমিথিউস’, ‘কমেডি অন ট্রায়াল’-
প্রমুখ নাটক। যথানিয়মে কোর্স শেষ হবার পর নাট্যচক্রের নিয়মিত সদস্য হিসেবে
অভিনয় করতে লাগলেন আমাদের এই গল্পের নায়ক।
তবে গোল বাধলো তখনই, যখন এই দারুণ যৌবনে তার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল এক কোমল
কিশোরীর। এই অপরূপ মেয়েটি অগ্রণী গার্লস হাইস্কুলে ক্লাস এইটে পড়ে। কতোই
বা বয়েস তাদের! একজন কৌশরের প্রান্তসীমা পেরিয়ে ফুল হবার জন্য অপেক্ষা
করছে, আরেকজন তুমুল তারুণ্যের গন্ধে পাগলপারা হয়ে নিজেকে যৌবনের
ধর্মানুসারে বিলিয়ে দিচ্ছে অনেকের মাঝে।
টিএসসির সেই দারুণ সবুজ চত্বরে আরো অনেকের সাথে একত্রে ক্লাস করতেন তনিমা
হামিদ আর শামসুদ্দীন হায়দার ডালিম। অভিনয় শেখার এই ক্লাসেই তাদের মুখোমুখি
আলাপ- পরিচয়। তবে প্রথম দিকে মানে সেই ’৯৩ সালে একে অন্যকে আলাদা করে
দেখতেন না তারা। তবে দলের সভাপতির মেয়ে হিসেবে তনিমা হামিদের প্রতি একটা
আলাদা নজর ছিল সবারই। তার কিসে ভালো হবে, সে এলো কি এলো না অথবা কোনো
সমস্যা হচ্ছে কি না- এসব দেখভাল করার মানুষের কোনো অভাব ছিল না! এসবের
ভীড়ে এই লাজুক, বিনয়ী ছেলে কি আর রাজকন্যার দেখা পায়!
দলের রিহার্সেল, শো- ইত্যাদি হবার সময় তাদের নিয়মিত আলাপ হয়, খুচরো কিছু
কথাবার্তাও হয়। সেটা তেমন কিছু নয়! যেহেতু দলের সভাপতির মেয়ে ফলে নিজে
পারতপক্ষে তার প্রতি কোনো কৌতুহল দেখাতে যেতেন না ভীষণ ভদ্রলোক ডালিম।
মাঝে তিনি পড়ালেখার ফাঁকে ঢুকে গেলেন এপিটিএন (এসোসিয়েট প্রেস টেলিভিশন
নিউজ)- এর এদেশীয় প্রতিনিধি হিসেবে। সারাদিন ধরে নানা খবর সংগ্রহ করে
রাতের ৭টার বৃটিশ এয়ারওয়েজে সেটা বৃটেনে পাঠানোর ব্যবস্থা করাই ছিল তার
কাজ। এভাবেই দিন কাটছে দিনের নিয়মে।
এই কাজ পাগল, লাজুক ছেলেটার বিনয় আরো নানা সব গুণ আকর্ষণ করলো ভীষণভাবে
তনিমাকে। ফলে একদিন তিনি নিজের মতো করে পছন্দের কথাটা জানিয়েও দিলেন। আর
জানাবেনই বা না কেন- তারা তো আগে থেকেই জানতেন যে তারা দুজন দুজনকে পছন্দ
করেন নানা কারণে। আর ডালিমের এই সুযোগ গ্রহণ না করার কোনোই কারণ নেই।
টানা
এগারো বছর বিয়ের আগের ‘প্রেমপর্ব’ কাটিয়েছেন শামসুদ্দীন হায়দার ডালিম আর
তনিমা হামিদ। তবে কোনোদিন তাদের নিয়ে কোনো রিউমার ছড়ায়নি কোনো কাগজে। এই
ব্যাপারের রহস্য জানতে চাইলে হাসতে হাসতে গণমাধ্যমকর্মী শামসুদ্দীন হায়দার
ডালিম বলেন, “আমরা যে সময়টা পার করেছি, তখন নাটকে অভিনয়ের সুবাধে তনিমা
বেশ পরিচিত হয়ে যাচেছ দিনের পর দিন। আর আমিও টিভিতে কাজ করছি। অল্প- সল্প
পরিচিতি আমারও হচ্ছে। ফলে আমরা দুজনেই খুব সজাগ ছিলাম যাতে মিডিয়ার কোনো
দৃষ্টি এই সম্পর্কের দিকে না পড়ে।”
মঞ্চে যেহেতু একসাথেই কাজ করতেন, ফলে সেখানেই তাদের নিয়মিত দেখা হতো। আলাপ
চলতো, অভিমান পর্বও হতো। সভাপতির মেয়ে হিসেবে আলাদা নজরে থাকলেও ডালিমের
সঙ্গে যে ‘গভীর হৃদয়বৃত্তিক সম্পর্ক’ চলছে তার সেটা কাউকে টের পেতে দিতেন
না তনিমা। এভাবে চলতে চলতে আর তনিমার পরিবারের অত্যন্ত পছন্দের ছেলে হবার
কারণে তাদের সম্পর্কটা আসলে বেশ শক্ত ভিত পেয়েছিল ভেতরে ভেতরে।
’০৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মহা ধুমধামের সাথে বিয়ে হয় তনিমা- ডালিমের। তারও
আগে মানে ’০০ সালে নিজেদের এই পছন্দের কথা তারা দুই পরিবারের কাছে তুলে
ধরেন। যেহেতু ম. হামিদ আর ফাল্গুনী সংস্কৃতি জগতের মানুষ, ফলে এমন ছেলেকে
না বলার কোনো যুক্তিই ছিল না তাদের হাতে। আর তনিমাকেও সানন্দে মেনে
নিয়েছিলেন ডালিমের বাবা- মা। ফলে পুরোনো ঢাকার মালিটোলোর এক যৌথ পরিবারের
পুত্রবধু হিসেবে ঢুকে পড়লেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তনিমা হামিদ।
Source Bdnews24.com
Admin- Administrator
-
Number of posts : 473
Age : 37
Location : Bangladesh
Job/hobbies : To Do Something For My Birthplace,Kutubdia.
Humor : Life Is Full Of Humour.
Reputation : 7
Points : 303257
Registration date : 18/01/2009
Character Sheet
Admin's Message: Thanks For Your Participation.Keep In Touch.
30 Bochorer Momotar Badhon(Abida+Rafikul)
৩০ বছরের মমতার বাঁধন : আবিদা সুলতানা- রফিকুল আলম
খুব আলোচিত দিন ছিল পহেলা বৈশাখ ’৭৯ সাল। কারণ এদিন তুমুল জনপ্রিয় গায়ক
রফিকুল আলমের গলায় বরমাল্য পরিয়ে দেন আবিদা সুলতানা। অফিসার্স ক্লাবে
অনুষ্ঠিত এই বিয়েতে এই শহরের নামকরা সব সংস্কৃতি জগতের মানুষেরা উপস্থিত
ছিলেন। বাংলামটরের এক ভেতরের দিকে ঘুপচি ঘরে সংসার শুরু করার সময় রাজশাহীর
ছেলে রফিক পণ করেছিল সে তার নতুন সংসার শুরু করবে নিজের অর্থ দিয়েই। ফলে
এই সংসার যাত্রা যেমন একটু কষ্টের ছিল, তেমনি ছিল দারুণ আনন্দেরও। কারণ
“রাজশাহীর মানবেন্দ্র’ কে বর হিসেবে কল্পনা করেছিলেন আবিদা অনেক আগে থেকেই।
’৭৬
সালে পারিবারিক এক ভ্রমণে মামার পরিচিত হিসেবে কক্সবাজার গিয়েছিলেন
আবিদাদের সঙ্গে রফিকুল আলম। সেই যাত্রায় তারা একসঙ্গে গানও গেয়েছেন।
ততদিনে রাজশাহীর এই দুরন্ত তরুণ বেশ বিখ্যাত। আর গানে তার চেয়ে বেশ
খানিকটা অপরিচিতই আবিদা সুলতানা। তারপর সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে
লাকী আখন্দ আবিদার সঙ্গে আরো খানিকটা পরিচয় করিয়ে দেন রফিকের। আরো নানা
অনুষ্ঠানে তারা একসঙ্গে গান গেয়েছেন। আলাপ, পরিচয়ের পর বয়সে তুমুল তরুণ এই
দুই মানুষটি বেশ একসাথে ঘোরাঘুরিই করেছেন।
আমাদের বিয়েটা আসলে করিয়ে দেয় মিডিয়া- বলেন আবিদা সুলতানা। কারণ তারা এক
সাথে বেশ সময় কাটালেও সেটা ছিল স্রেফ বন্ধুত্বের। আর এটাই চারপাশে গাল-
গল্প তৈরি করে। এই অবস্থা দেখে আবিদার বড়বোন তাদের বিয়ে করার কথাটি প্রথম
জানান। আর পাত্র হিসেবে এই ছেলেটাকে বেশ পছন্দই করে ফেলেছেন ততদিনে তিনি। এম এ হামিদ বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আবিদার বাবার কাছে এলে তিনি অনুযোগ করে
বলেন, “পাত্র তো খুবই হ্যাংলা।” উত্তরে তিনি বলেন, “আপনারটা কি ভালো?” এই
সেদিনের সেই হ্যাংলা- পাতলা ছেলেকে তার সেন্স অফ হিউমারের জন্য খুব পছন্দ
করেছিলেন আবিদা। কথায় কথায় তিনি ফাজলামো করতেন।আজকে আবিদা আর রফিকুল আলমের সংসারের একমাত্র সন্তান ফারশিদ আলম অমি
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। আর তারা দুজন স্বামী- স্ত্রী হিসেবেই শুধু নন,
গায়ক- গায়িকা হিসেবেও হয়েছেন আদরণীয়।Source bdnews24.com
Admin- Administrator
-
Number of posts : 473
Age : 37
Location : Bangladesh
Job/hobbies : To Do Something For My Birthplace,Kutubdia.
Humor : Life Is Full Of Humour.
Reputation : 7
Points : 303257
Registration date : 18/01/2009
Character Sheet
Admin's Message: Thanks For Your Participation.Keep In Touch.
A Happy family (Anusheh+Bunu)
দুই সন্তানের তুমুল সংসার : আনুশেহ্- বুনো
’৯৬ সালের শেষের দিক কিংবা ’৯৭ সালের প্রথম দিকের কথা। সিলেটে একটি
অনুষ্ঠানে গিয়েছেন আনুশেহ্। তো সেখানে কাজ- কর্ম সেরে তিনি পাশে দাঁড়ানো
ভদ্রলোককে ডেকে বললেন, “আংকেল একটা সিগ্রেট হবে?” ভদ্রলোক সিগ্রেট বের করে
দিলেন। সেখানে তাদের হালকা আলাপ হলো।
এরপর ঢাকা এসে আবারো তাদের দেখা হলো। আস্তে আস্তে সেই হালকা আলাপ আরো ঘন
হলো। এর কারণ তাদের দু’জনের বন্ধু- বান্ধব প্রায় একই। নানা অনুষ্ঠানে তারা
একত্রে গেয়েছেনও। দিনে দিনে এভাবেই আনুশেহ্ আর বুনো কাছাকাছি এসেছেন। আর
কবে যে তারা দু’জন দু’জনের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হয়ে গেছেন সেটা কেউই বলতে
পারেন না। অবস্থা এই দুই তুমুল বন্ধুর এমন হয়েছিল যে, একে অন্যের সমস্যায়
তারা পরামর্শ নিতে শুরু করলেন। দেখা গেল, বুনো প্রেম করছেন। তার প্রেমে
কোনো সমস্যা হচ্ছে; তিনি আনুশেহ্কে ফোন করে বসলেন। আবার আনুশেহ্র
প্রেমিকের সঙ্গে সমস্যার সমাধান বাতলে দিতে সবার চেয়ে বুনোর পরামর্শটাই
বেশি জরুরী বলে মনে হচ্ছে!
এভাবেই দিনে দিনে কে কখন কার মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন আজ আর মনে করতে
পারেন না আনুশেহ্- বুনো দু’জনের কেউই। মাঝে আনুশেহর জীবনের খুব খারাপ
একটা সময় গিয়েছিল। তখন তাকে দারুণভাবে সঙ্গ এবং ভালোবাসা দিয়ে সেরে উঠতে
সাহায্য করেছেন বুনো। দিনের পর দিন তিনি রিহ্যাবে আনুশেহর কাছে থেকেছেন,
তাকে সাহায্য করেছেন মানসিকভাবে। আর এই দু’জনের এতো কাছাকছি আসা দেখে
এমনকি তাদের বাবা- মাও বলেছেন তোমরা বিয়ে করছো না কেন! তখন বুনো বলতেন, “ও
তো একটা পাগলী। ওকে বিয়ে করবে কে?” আর আনুশেহ্ও দূর বলে ব্যাপারটাকে এক
রকম উঠিয়েই দিতেন।
বিপুল সময় একসঙ্গে কাটানোর পর আনুশেহ্ আর বুনো এক সাথে জীবন কাটানোর
সিদ্ধান্ত নেন। আর তারা আসলে তেমন কোনো প্রেমিক প্রেমিকার জীবন কাটান নি
বলে জানান আনুশেহ্। রীতিমতো নিজেরা শর্ত আরোপ করে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত
নিয়েছিলেন এবং সেটা তারা কার্যকর করেছেন ৬ মাসের মধ্যে। আনুশেহ্ বুনোকে
বলেছেন তার বিষয়ে কি কি আপত্তি বুনো করতে পারবেন না। আবার বুনোও নিজের
শর্তগুলো তাকে জানাতে মোটেও ভোলেন নি।
এখন তাদের বিয়ের ৬ বছর পেরিয়ে গেছে। ৪ বছর বয়সী আরাশ আর ২ বছর বয়সী রাহাকে
নিয়ে সুখেই আছেন অসি'র, রাগী আনুশেহ আর ঠান্ডা, ধীরস্থির বুনো। দুজনেই
তারা গান-বাজনা পছন্দ করেন। তাদের মতাদর্শিক মিলও দারুণ। আর যেহেতু তারা
দু’জন দুজনের সবচেয়ে কাছের বন্ধু ফলে আসলে তারা একে অন্যকে মোটেও ঘাঁটান
না বলে জানান আনুশেহ্। এই দুই আলাদা চরিত্রের মানুষের সংসার যাত্রা শুরু
হয়েছিল ৩১ জুন তারিখে সেটার সবচেয়ে কঠিন বাঁধন আসলে আনুশেহর মতে, “আমাদের
দুই সন্তান।”
Source Bdnews24.com
Admin- Administrator
-
Number of posts : 473
Age : 37
Location : Bangladesh
Job/hobbies : To Do Something For My Birthplace,Kutubdia.
Humor : Life Is Full Of Humour.
Reputation : 7
Points : 303257
Registration date : 18/01/2009
Character Sheet
Admin's Message: Thanks For Your Participation.Keep In Touch.
Love Story Of Tutul-Tania
চাঁদের হাট : তানিয়া- টুটুলের সংসার
তারা দুজনেই তখন এখনকার মতো মিডিয়াতে কাজ করেন। অবশ্য এখনকার মতো বিখ্যাত
হননি এস আই টুটুল আর তানিয়া আহমেদ। তানিয়া আহমেদ র্যাম্প মডেলিং করতেন।
মাঝে মাঝে কোরিগ্রাফিও করতেন। অন্যদিকে চালচুলোহীন টুটুল এলআরবি ব্যান্ডের
কী- বোর্ড বাদক হিসেবে কাজ করছেন। একটি শো করতে এসেছেন তানিয়া আর সেখানে
সেখানে এলআরবির সঙ্গে পারফর্ম করতে এসেছেন টুটুল। এই আয়োজনেই তারা দুজন
দুজনের পরিচিত হলেন। বলতে গেলে মুখটা চিনে নিলেন। এরপর নানা অনুষ্ঠানে
তাদের দেখা হয়েছে। আর একটু একটু করে এই অপরূপ তরুণীর প্রতি কৌতুহলী হয়েছেন
টুটুল। তবে মেয়েটি তো এসবের কিছুই জানে না!
’৯৭ সালে আমেরিকায় একটি লম্বা ট্যুর হয়েছিল এদেশের সাংস্কৃতিক জগতের
মানুষদের। এই আয়োজনে আরো অনেকের সঙ্গে গিয়েছিলেন টুটুল- তানিয়াও। সেখানে
দিনের পর দিন থাকতে গিয়ে আসলে বলতে গেলে এই মেয়েটির নানা ধরণের গুণের
প্রেমে পড়ে যান টুটুল। তিনি অবাক হয়ে খেয়াল করেন, মেয়েটি সব আয়োজন নিজের
কাঁধে নিয়ে নিচ্ছে অবলীলায়। আর যে কারো সমস্যার সমাধান করছে হাসি মুখে।
ফলে তার ভেতরে থাকা ভালো লাগার অনুভূতি আসলে এই সময়েই ‘প্রেম’ হয়ে গেল
কিভাবে কিভাবে সেটা তিনি নিজেই জানেন না!
তাদের দুজনের একজন কমন বন্ধু ছিলেন। যার সাথে আবার তানিয়ার খুব খাতির।
খাতির টুটুলের সাথেও এতোদিনে বেশ জমে উঠেছে। সম্পর্কটা ‘তুই’ হয়ে গেছে। তো
ঐ বন্ধুর কাছে গিয়ে নিজের সমস্যার কথা বলার পর সে ব্যাপক উৎসাহ দিলো। বললো
আজই বলে ফেলতে। আর সে কথাটি মেনে নিয়ে দারুণ সাহসে ভর দিয়ে নিজের
ভালোবাসার কথা জানালেন তিনি। তবে মনে মনে পছন্দ করলেও তানিয়া এই প্রেমিক
প্রবরের কথায় বেশ অবাক হয়ে গেলেন। আর যেহেতু তিনি নিজে তাকে পছন্দ করতেন
মনে মনে তাই ভাবার জন্য একটু সময় চাইলেন। তবে ভাবতে দিলে তো রাজকণ্যার আর
দেখা পাওয়া যাবে না! এটা তখন দারুণভাবে মনে হয়েছিল টুটুলের। ফলে তিনি
বললেন, “আমি কয়েকটা প্রশ্ন করি। তুই উত্তর দে।” তানিয়া মাথা নেড়ে সায়
দিলেন।
“আমি কি দেখতে খারাপ”- প্রশ্ন টুটুলের। তানিয়ার উত্তর “না”। “আমি কি
অযোগ্য?” “না”- এমন নানা প্রশ্নবানে বিদ্ধ করে টুটুল তার ভালোবাসার
নায়িকার কাছ থেকে একেবারে সিনেমাটিক স্টাইলে বের করে নিলেন, যে, পাত্র
হিসেবে তাকে খুবই যোগ্য মনে করেন তিনি এবং তাকে তিনি মনে মনে পছন্দও করেন।
তবে আজকের এই প্রশ্ন- উত্তর পর্বের মাধ্যমে এই সত্যটা বেরিয়ে এলো। আর
তানিয়া শেষ পর্যন- জানালেন, যদি পরিবারের সবাই মেনে নেন তাহলে স্বামী
হিসেবে সানন্দেই মেনে নেবেন তিনি টুটুলকে।
এবারের অভিযান তানিয়ার পরিবারের কাছে প্রিয় হওয়া। যদিও চালচুলোহীন, এক
অখ্যাত গায়ককে ধনী পরিবারের আদরের দুলালীর স্বামী (সোহেল রানা, রুবেলের
ভাগ্নী এবং বরিশালের এক ধনী বাবা- মায়ের একমাত্র মেয়ে তানিয়া!) হিসেবে
টুটুলকে মেনে নেবার কোনো কারণ নেই, তারপরও কেন জানি তাকে খুব পছন্দ করে
ফেললেন তানিয়ার মা। তবে তার কাছে গিয়ে যখন তিনি জানালেন যে, তানিয়াকে বিয়ে
করতে চান- তখন টুটুলের হবু শ্বাশুড়ির হাত- পাঁ কাঁপতে শুরু করলো। তিনি ভয়ে
কোনো কথাই বলতে পারলেন না। তবে দিনে দিনে তার সঙ্গে খুব সুসম্পর্ক তৈরি
হলো টুটুলের। আর এভাবেই ঐ পরিবারের বাকীদেরও ‘প্রিয়তম পাত্র’ হয়ে পড়লেন
তিনি।
’৯১ সালের ১৯ জুলাই বিয়ে করেছেন দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে এবং কাছের
মানুষদের উপস্থিতিতে টুটুল আর তানিয়া। সেদিন বিয়ের সময় কোনো কিছুই নববধুকে
দিতে না পারলেন স্রেফ ভালোবাসাকেই সম্বল করে সংসার যাত্রা শুরু করেছিলেন
তারা। তবে আজকে ‘স্বামীর গর্বে গরবিনী’ হতেই পারেন তানিয়া আহমেদ। কারণ এস
আই টুটুল এদেশের সঙ্গীত জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। যার আর্থিক
অবস্থা এখন খুবই ভালো। আর যিনি তাকে উপহার দিয়েছেন দুই দুটি ভালোবাসার
'ধন সন্তান'। আর তাদের এই সুখের ঘরে নতুন অতিথির আগমনী বার্তা এখন বাজছে।
Source Bdnews24.com
তারা দুজনেই তখন এখনকার মতো মিডিয়াতে কাজ করেন। অবশ্য এখনকার মতো বিখ্যাত
হননি এস আই টুটুল আর তানিয়া আহমেদ। তানিয়া আহমেদ র্যাম্প মডেলিং করতেন।
মাঝে মাঝে কোরিগ্রাফিও করতেন। অন্যদিকে চালচুলোহীন টুটুল এলআরবি ব্যান্ডের
কী- বোর্ড বাদক হিসেবে কাজ করছেন। একটি শো করতে এসেছেন তানিয়া আর সেখানে
সেখানে এলআরবির সঙ্গে পারফর্ম করতে এসেছেন টুটুল। এই আয়োজনেই তারা দুজন
দুজনের পরিচিত হলেন। বলতে গেলে মুখটা চিনে নিলেন। এরপর নানা অনুষ্ঠানে
তাদের দেখা হয়েছে। আর একটু একটু করে এই অপরূপ তরুণীর প্রতি কৌতুহলী হয়েছেন
টুটুল। তবে মেয়েটি তো এসবের কিছুই জানে না!
’৯৭ সালে আমেরিকায় একটি লম্বা ট্যুর হয়েছিল এদেশের সাংস্কৃতিক জগতের
মানুষদের। এই আয়োজনে আরো অনেকের সঙ্গে গিয়েছিলেন টুটুল- তানিয়াও। সেখানে
দিনের পর দিন থাকতে গিয়ে আসলে বলতে গেলে এই মেয়েটির নানা ধরণের গুণের
প্রেমে পড়ে যান টুটুল। তিনি অবাক হয়ে খেয়াল করেন, মেয়েটি সব আয়োজন নিজের
কাঁধে নিয়ে নিচ্ছে অবলীলায়। আর যে কারো সমস্যার সমাধান করছে হাসি মুখে।
ফলে তার ভেতরে থাকা ভালো লাগার অনুভূতি আসলে এই সময়েই ‘প্রেম’ হয়ে গেল
কিভাবে কিভাবে সেটা তিনি নিজেই জানেন না!
তাদের দুজনের একজন কমন বন্ধু ছিলেন। যার সাথে আবার তানিয়ার খুব খাতির।
খাতির টুটুলের সাথেও এতোদিনে বেশ জমে উঠেছে। সম্পর্কটা ‘তুই’ হয়ে গেছে। তো
ঐ বন্ধুর কাছে গিয়ে নিজের সমস্যার কথা বলার পর সে ব্যাপক উৎসাহ দিলো। বললো
আজই বলে ফেলতে। আর সে কথাটি মেনে নিয়ে দারুণ সাহসে ভর দিয়ে নিজের
ভালোবাসার কথা জানালেন তিনি। তবে মনে মনে পছন্দ করলেও তানিয়া এই প্রেমিক
প্রবরের কথায় বেশ অবাক হয়ে গেলেন। আর যেহেতু তিনি নিজে তাকে পছন্দ করতেন
মনে মনে তাই ভাবার জন্য একটু সময় চাইলেন। তবে ভাবতে দিলে তো রাজকণ্যার আর
দেখা পাওয়া যাবে না! এটা তখন দারুণভাবে মনে হয়েছিল টুটুলের। ফলে তিনি
বললেন, “আমি কয়েকটা প্রশ্ন করি। তুই উত্তর দে।” তানিয়া মাথা নেড়ে সায়
দিলেন।
“আমি কি দেখতে খারাপ”- প্রশ্ন টুটুলের। তানিয়ার উত্তর “না”। “আমি কি
অযোগ্য?” “না”- এমন নানা প্রশ্নবানে বিদ্ধ করে টুটুল তার ভালোবাসার
নায়িকার কাছ থেকে একেবারে সিনেমাটিক স্টাইলে বের করে নিলেন, যে, পাত্র
হিসেবে তাকে খুবই যোগ্য মনে করেন তিনি এবং তাকে তিনি মনে মনে পছন্দও করেন।
তবে আজকের এই প্রশ্ন- উত্তর পর্বের মাধ্যমে এই সত্যটা বেরিয়ে এলো। আর
তানিয়া শেষ পর্যন- জানালেন, যদি পরিবারের সবাই মেনে নেন তাহলে স্বামী
হিসেবে সানন্দেই মেনে নেবেন তিনি টুটুলকে।
এবারের অভিযান তানিয়ার পরিবারের কাছে প্রিয় হওয়া। যদিও চালচুলোহীন, এক
অখ্যাত গায়ককে ধনী পরিবারের আদরের দুলালীর স্বামী (সোহেল রানা, রুবেলের
ভাগ্নী এবং বরিশালের এক ধনী বাবা- মায়ের একমাত্র মেয়ে তানিয়া!) হিসেবে
টুটুলকে মেনে নেবার কোনো কারণ নেই, তারপরও কেন জানি তাকে খুব পছন্দ করে
ফেললেন তানিয়ার মা। তবে তার কাছে গিয়ে যখন তিনি জানালেন যে, তানিয়াকে বিয়ে
করতে চান- তখন টুটুলের হবু শ্বাশুড়ির হাত- পাঁ কাঁপতে শুরু করলো। তিনি ভয়ে
কোনো কথাই বলতে পারলেন না। তবে দিনে দিনে তার সঙ্গে খুব সুসম্পর্ক তৈরি
হলো টুটুলের। আর এভাবেই ঐ পরিবারের বাকীদেরও ‘প্রিয়তম পাত্র’ হয়ে পড়লেন
তিনি।
’৯১ সালের ১৯ জুলাই বিয়ে করেছেন দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে এবং কাছের
মানুষদের উপস্থিতিতে টুটুল আর তানিয়া। সেদিন বিয়ের সময় কোনো কিছুই নববধুকে
দিতে না পারলেন স্রেফ ভালোবাসাকেই সম্বল করে সংসার যাত্রা শুরু করেছিলেন
তারা। তবে আজকে ‘স্বামীর গর্বে গরবিনী’ হতেই পারেন তানিয়া আহমেদ। কারণ এস
আই টুটুল এদেশের সঙ্গীত জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। যার আর্থিক
অবস্থা এখন খুবই ভালো। আর যিনি তাকে উপহার দিয়েছেন দুই দুটি ভালোবাসার
'ধন সন্তান'। আর তাদের এই সুখের ঘরে নতুন অতিথির আগমনী বার্তা এখন বাজছে।
Source Bdnews24.com
Admin- Administrator
-
Number of posts : 473
Age : 37
Location : Bangladesh
Job/hobbies : To Do Something For My Birthplace,Kutubdia.
Humor : Life Is Full Of Humour.
Reputation : 7
Points : 303257
Registration date : 18/01/2009
Character Sheet
Admin's Message: Thanks For Your Participation.Keep In Touch.
Page 1 of 1
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
Tue Aug 09, 2011 10:09 am by Kibria
» তপুর এই গানটা চাই
Mon May 16, 2011 3:14 pm by আশরাফ
» ফোরামে নতুন
Fri May 13, 2011 5:20 pm by আশরাফ
» বিনামূল্যে আনলিমিটেড SMS পাঠান বিশ্বজুড়ে
Tue May 03, 2011 4:01 am by notomuke
» Facebook নিয়ে একজনের ভাবনা।
Wed Mar 16, 2011 8:39 pm by jahangir
» It's about me
Fri Feb 18, 2011 5:25 pm by Mosarrafcox
» Avacs live chat
Sun Nov 07, 2010 10:36 am by Heartthrob1
» একটি জ্বলন্ত হাদীস..............আপনার জীবনের সাথে মিলিয়ে দেখুনতো
Thu Aug 12, 2010 1:01 pm by Guest
» গাছ কেটে 'রবি'র বিলবোর্ড
Sat Jul 31, 2010 5:47 pm by Nejam Kutubi
» পাথরে ফুলের বাগান
Fri Jul 30, 2010 8:49 pm by Admin
» চাঁদের বুকে মানুষের পদচারনা...সম্প্রতি নাসা কিছু ভিডিও চিত্র প্রকাশ করে।
Thu Jul 29, 2010 10:03 pm by Admin
» "কবির কবিতা"
Thu Jul 29, 2010 4:31 pm by Nejam Kutubi
» বাঘ দিবস আজ। বাঘ মামাকে বাঁচান
Thu Jul 29, 2010 4:07 pm by Nejam Kutubi
» একটি কৌতুক এবং পুরুষ জীবন র্পযালোচন।
Sun Jul 18, 2010 7:04 pm by Admin
» For English Students And All Muslims
Wed Jul 07, 2010 5:23 pm by cena2020
» Conflict Between BDR& Army personnels
Sat Jul 03, 2010 1:09 pm by proximityinfotech3
» Affected performance
Wed Jun 30, 2010 12:37 pm by Admin
» What are the different types of competition?
Wed Jun 30, 2010 9:24 am by cena2020
» HADI-JOON
Tue Jun 29, 2010 12:35 pm by Admin
» Eid Moon
Tue Jun 29, 2010 12:31 pm by Admin